বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৮:২২ অপরাহ্ন

শিরোনামঃ
প্রতীক্ষায় আছি ”শিশুশ্রম” বন্ধ হবে একদিন! ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করে সাততলা ভবনের ৩ (তিন)তলা নির্মাণ কাজ চলছে রাজউকের চূড়ান্ত নোটিশ অমান্য করে মিরপুরে অবৈধ ভবন নির্মাণ অব্যাহত দক্ষিণখানে রাজউকের নিয়ম ভেঙে অবৈধ ভবন নির্মাণ পিএল: শিক্ষার্থী জীবনের বিশ্রাম, সংগ্রাম ও স্বপ্নের সন্ধিক্ষণ জিয়াউর রহমান ছিলেন নির্ভিক দুরদর্শী এক জননন্দিত রাস্টনায়ক- ভিসি, ওবায়দুল ইসলাম শরণখোলায় নিখোঁজের তিনদিন পরে শাহিদা নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার চন্দনাইশে লাগাতর বৃষ্টির কারণে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে শরণখোলায় বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু   অসুস্হ বিএনপি নেতা রফিকুল আলম মজনুকে দেখতে হাসপাতালে – আমিনুল হক

ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করে সাততলা ভবনের ৩ (তিন)তলা নির্মাণ কাজ চলছে

 

৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলেও রাজউককে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পূনরায় নির্মাণ।

 

নার্গিস রুবি:

রাজধানীর মিরপুর হাউজিং এস্টেটের ১২ নম্বর সেকশনে রাজউকের অনুমোদিত নকশা লঙ্ঘন করে একটি সাততলা ভবনের মধ্যে তিনটি তলার নির্মাণকাজ চলছে—এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, প্লট-১৩/৩, রোড-১/১, ব্লক-বি ঠিকানায় নির্মাণাধীন ভবনের প্রতিটি তলায় অনুমোদিত নকশার বাইরে ছাদ ও বারান্দা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। নির্মাণস্থলে কোনো সাইনবোর্ড থাকলেও অনুমোদিত নকশার অনুলিপি নেই।

📸 ভবনটির অবৈধ নির্মাণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কাঠামো দৃশ্যমান।

🔍 শ্রমিক নিরাপত্তা ও জনস্বার্থ উপেক্ষা:
পরিদর্শনে আরও দেখা গেছে, ভবনটি নির্মিত হচ্ছে সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণভাবে। পথচারী ও নির্মাণ শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য সেফটি নেট পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়নি, যা বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ।

ইমারত পরিদর্শক ফয়েজ জানান, “গত এপ্রিল মাসে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে ভবনটির নির্মাণ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু মালিক পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু করেছেন।”

📜 অনুমোদনের তথ্য ও আইনগত জটিলতা:
ভবনটি রাজউকের ৩/১ জোন এর আওতাভুক্ত। অনুমোদনের স্মারক নং: ২৫.৩৯.০০০০.০৯৮.৩৩.৩৫৮.২১, তারিখ: ১৭/০৫/২০২১।

ভবন মালিক: সৈয়দ বোরহান উদ্দিন
স্থপতি: Sheboti Shanchita, IAB NO: S-087
প্রকৌশলী: Engr. Md. Mehedy Hassan, MIEB-26268
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান: জাবেদ কনস্ট্রাকশন
নির্মাণ শুরু: ০৩/১১/২০২৪
সমাপ্তির সম্ভাব্য তারিখ: ০৭/১২/২০২৭
তবে অভিযোগ রয়েছে যে, নির্মাণ কাজ ‘ফরম ৩০৭’ জমা না দিয়েই শুরু করা হয়েছে, যা ইমারত নির্মাণ আইন, ১৯৫২-এর ধারা ১২ এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, ২০০৮-এর ধারা ৪.২(১) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

🏗️ নির্মাণ তদারকিতে নজরদারির ঘাটতি:
নির্মাণস্থলে পাশের ভবনগুলোর সঙ্গে প্রস্তাবিত ফাঁকা জায়গা না রেখে ঘেঁষে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে অগ্নিকাণ্ড বা ভূমিকম্পের সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।

রাজউকের অথরাইজ অফিসার শেখ মাহাব্বির রনি বলেন, খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

📢 স্থানীয়দের দাবি:
১. ভবন নির্মাণ তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে তদন্ত কমিটি গঠন।
২. নকশা লঙ্ঘনের দায়ে ফৌজদারি মামলা রুজু।
৩. রাজউক কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
৪. নির্মাণ কার্যক্রমে স্বতন্ত্র মনিটরিং টিম গঠন।
৫. সব নির্মাণে অনুমোদিত নকশা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

⚠️ নগরায়ণ পরিকল্পনায় ঝুঁকি:
নগর বিশেষজ্ঞদের মতে, “নিয়ম না মেনে ভবন নির্মাণের এই প্রবণতা রাজধানীর পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য হুমকি। ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে এমন অনিয়ম প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।”

🔇 দায়ী পক্ষের অনুপস্থিতি:
সরেজমিন অনুসন্ধানে ভবন মালিক বা ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রতিনিধিকে পাওয়া যায়নি, ফলে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *