এস.এম.জাকির,
চন্দনাইশ(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:

লাগাতর বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রাম চন্দনাইশের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। অভ্যান্তরীন সড়কগুলোতে পানি উটে পড়ায় জনসাধারণের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। শঙ্খ নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদ সীমানার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লাগাতর বৃষ্টির ফলে বিদ্যুৎ না থাকায় পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছে।

গত এক সপ্তাহ ধরে লাগাতর বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলের পানি চন্দনাইশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বিভিন্ন অভ্যান্তরণী সড়কগুলোর উপরদিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাথায়াতকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গতকাল ১ জুন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিরামহীন বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢলের পানি শঙ্খ নদী, বরুমতি, চাঁনখালী খালে পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদ সীমানার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিশেষ করে পাহাড়ি ঢলের পানি কাঞ্চননগর, সৈয়দাবাদ, জামিরজুরী, দোহাজারী, ধোপাছড়ি, চন্দনাইশ সদরসহ বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানি শঙ্খ নদী, বরুমতি খাল, গুইল্যাছড়ি, চাঁনখালী খালের পাড় উপরে আশে-পাশের এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার অনেকে বন্যায় কবলিত হওয়ার আশংকায় রয়েছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দফায় দফায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পাহাড়ি ঢলের পানি ক্রমন্বয়ে বন্যায় রূপ দিচ্ছে। সারাদিন বৃষ্টির ফলে সাধারণ কেটে খাওয়া মানুষ কাজ কর্ম করতে না পেরে অবসর সময় পার করছে। গত ২৯ মে রাতে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে পল্লী বিদ্যুৎ কতৃর্পক্ষ বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়। চন্দনাইশ সদর এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ সরবারহ করলে ও উপজেলার অন্যান্য এলাকায় নিয়মিত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না বলে গ্রাহদের অভিযোগ। এই ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম প্রকৌশলী ফখরুদ্দীন বলেছেন, গ্রিডে সমস্যা জনিত কারণে সব সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া অতিবৃষ্টি ও জড়ো হাওয়ার কারণে বৈদ্যুতিক লাইনের উপর গাছের ডাল-পালা ভেঙ্গে পড়ে লাইনের সমস্যা হচ্ছে। এগুলো পল্লী বিদ্যুদের কর্মীরা দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে লাইন সঞ্চালন করার জন্য কার করে যাচ্ছে।